সেন্ট লুসিয়ার ও অ্যান্টিগার উইকেটের পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে তামিম ইকবাল বলছিলেন, ‘অ্যান্টিগা পেসারদের জন্য খুব হেল্পফুল ছিল।
সুইং ছিল, কিছু বল সিম করছিল। আজকে প্রথম দিন হিসেবে…উইকেটে ক্র্যাক আছে। কিছু আপ অ্যান্ড ডাউন হয়। সুইং কিন্তু ওরাও পায়নি। আমরাও তেমন পায়নি।’
এমন উইকেট ব্যাটসম্যান বান্ধব না তাও বলেছেন তিনি, ‘এটা এমন উইকেট না যে, আপনি এসে যা ইচ্ছা তা করতে পারবেন না। এখানে ধৈর্যর পরীক্ষা দিতে হবে।’
দিনের শুরুতে নতুন বলে ধৈর্যর পরীক্ষায় লেটার মার্কস পেয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু দিন শেষে গড় মার্কে ফেল করেছেন তামিম, জয়, শান্ত, সাকিবরা। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেছে ২৩৪ রানে। অথচ টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ঘণ্টায় ৪১ রান তুলে নিয়েছিলেন তামিম ও জয়।
দ্বিতীয় ঘণ্টা থেকেই বাংলাদেশের ব্যাকফুটে চলা শুরু। জয়, তামিম প্রথম সেশনেই ফেরেন আলগা শটে। নিজের আউট নিয়ে তামিমের ব্যাখ্যা, ‘টেস্ট ক্রিকেটে শুরু পেয়ে গেলে আমার ইনিংসগুলো সচরাচর বড় হয়।
কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক আজ বড় করতে পারিনি (৪৬ রান)। বলটা আমি চাইলে ছেড়ে দিতে পারতাম। কিন্তু বলটা যতটুকু ওঠার কথা ছিল না ততটুকু ওঠেছে। এ কারণে ব্যাটের স্টিকারে লেগেছিল।
কিন্ত এখানে সেই অজুহাত দিতে আসিনি। আমার কাছে মনে হয়, আমি যেহেতু শুরু পেয়েছিলাম সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে আমার উচিত ছিল বড় স্কোর করার। নিজের আউট নিয়ে কোনো অজুহাত নেই।’
দলও ভালো অবস্থায় নেই সেই কথা নিজ থেকেই বলেছেন,‘আমাদের আরো ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল। আমরা যদি তিনশর কাছাকাছি বা তিনশ বিশ করতাম তাহলে খুব ভালো স্কোর হতো। কারণ উইকেট কিছুটা আপ অ্যান্ড ডাউন হচ্ছে।
বোলিং আমার কাছে মনে হচ্ছে, ২৫-৩০ রান কম দিতাম তাহলে ভালো হতো। ওরা যেরকম ব্যাটিং করে, সচরাচর এতো দ্রুত রান করে না। আমার কাছে মনে হয় ২০-২৫ রান বেশি দিয়ে দিয়েছি।
যেহেতু ওদের উইকেট পড়েনি আজকের দিনটা তাদেরই। যদি আমরা ১-২টা উইকেট নিতে পারতাম তাহলে বলতে পারতাম ভাগাভাগি করছি। এই মুহূর্তে তারা এগিয়ে আছে। কাল আমরা কিভাবে শুরু করি সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।